Thursday, December 3rd, 2015




মাশরাফি বলে কথা ॥ একাই পারেন দল যেতাতে

mashrafiক্রিড়া প্রতিবেদক,নারায়ণগঞ্জ প্রতিদিন ডট কম : জন্টি রোডস সম্পর্কে বলা হতো, শুধু ফিল্ডিং দিয়েও দলে জায়গা করে নিতে পারবেন, ব্যাটিং-বোলিং না হলেও চলবে। খুব কম ক্রিকেটারের কপালেই এমন প্রশংসা জুটেছে। খেলাটাই তো ব্যাট-বলের-দলে থাকলে দুইয়ের একটা তো করতেই হবে। আজ আরও একবার এমন বিরল প্রশংসা শোনা গেল আরেকজনের ব্যাপারে। এবং সেটা শুধু বলার জন্য বলা নয়। ব্যাটে-বলে কিছু না করেও আজ দলে থাকলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। এবং দিনে দিনে মাশরাফি নিজেকে এমন একপর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তাঁর উপস্থিতিই বদলে দিচ্ছে সতীর্থদের। আজ শুধু অধিনায়কের ভূমিকাতে থেকেই মাশরাফি জয় এনে দিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসকে।
২ বল আর ৫ উইকেট হাতে নিয়ে চিটাগং ভাইকিংসের দেওয়া ১৩৭ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলেছে কুমিল্লা। প্রথমে ব্যাটিং করে ৫ উইকেটে ১৩৬ রান তুলেছিল চিটাগং ভাইকিংস। দ্বিতীয় ওভারের শুরুতেই লিটন দাসকে হারিয়ে ফেললেও কুমিল্লার মিডল অর্ডার জিতিয়ে দিয়েছে দলকে। অন্য ওপেনার ইমরুল ফিরে পাওয়া ছন্দটা কাজে লাগিয়ে আজ ২৮ বলে করেছেন ৩৫। তিনে নামা আহমেদ শেহজাদ ৪১ বলে ৩৭, শোয়েব মালিকের ২২ বলে ২৮ ভালোমতোই এগিয়ে নিচ্ছিল। শেষের দিকে চট্টগ্রাম চাপ তৈরি করলেও অলক কাপালিকে (৯ বলে ১০) নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে গেছেন মালিক।
আজও ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু এনে দিয়েছিল তামিম-দিলশান জুটি। টুর্নামেন্টজুড়ে ধারাবাহিক খেলা তামিম আজ ২৩ বলে করেছেন ২৭। তিলকরত্নে দিলশান ৪২ বলে ৩৯। ৫১ রানের ওপেনিং জুটির পরও ২৭ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে যায় চট্টগ্রাম। প্রথম ম্যাচে সুপার-ডুপার ফ্লপ উমর আকমল সেখান থেকে দলকে শুধু টেনেই তোলেননি, ৩৪ বলে ৪৯ করে ‘হেলিকপ্টার’-এর খোঁচার কিছুটা জবাবও দিলেন।
কিন্তু এদিনও লোয়ার মিডল অর্ডার চট্টগ্রামকে স্লগ ওভারে রানের ঝড় এনে দিতে পারেনি। চট্টগ্রামের জন্য আফসোস আরও বাড়ছে ৫ রানের জরিমানা। দ্বিতীয় রান নেওয়ার সময় দিলশানের সঙ্গে ধাক্কা লাগে ইমরুলের। ইমরুলকে রান আউটও করে ফেলে চট্টগ্রাম। কিন্তু টিভি রিপ্লে দেখে আম্পায়াররা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, দিলশানেরই অপরাধ। এ কারণে ইমরুল বেঁচে গেলেন ওই আউট থেকে, ৫ রানের জরিমানাও গুনতে হলো চট্টগ্রামকে।
জরিমানার এই পাঁচ রান তামিমকে হয়তো বেশি করে পোড়াচ্ছে ম্যাচটা মাত্র ২ বল আগে শেষ হওয়ায়। এই জরিমানা ম্যাচের ফলে ভূমিকা রেখেছে বৈকি। তবে সবচেয়ে বড় ভূমিকা? অবশ্যই বোলিং-ব্যাটিং কিছুই না করা মাশরাফিরই। গত কিছুদিন থেকেই আবারও ‘পুরোনো বন্ধু’ চোট ভোগাচ্ছে। গত ম্যাচে বল করার কথা না থাকলেও বাধ্য হয়ে বোলিং করেছেন। আজ দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ব্যাটিং-বোলিং কিছুই করতে হবে না, শুধু অধিনায়ক হিসেবেই না হয় দলে থাকবেন মাশরাফি। সেটাই থাকলেন। এবং নেতৃত্ব দিলেন সাত ম্যাচে পঞ্চম জয় এনে দলকে নিয়ে গেলেন পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে!

চিটাগং ভাইকিংস: ২০ ওভারে ১৩৬/৫ (উমর ৪৯*, দিলশান ৩৯, তামিম ২৭; জাইদি ১/১৮, শুভাগত ১/২৫, হায়দার ১/৩৪)। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস: ওভারে (শেহজাদ ৩৭, ইমরুল ৩৫, মালিক ৩৪*, অলক ১০* ; আমির ২/২২, দিলশান ১/১১, তাসকিন ১/৩১, ভাট্টি ১/৩১,)
ফল: কুমিল্লা ৫ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: শোয়েব মালিক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category