নিউজ ডেস্ক ঃ নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান এক প্রতিবাদ লিপিতে জানান, আমি অত্যন্ত গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, দৈনিক যুগের চিন্তা পত্রিকায় অব্যাহতভাবে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মিথ্যা,মনগড়া ও বিদ্বেষমূলক সংবাদ প্রকাশ করেই চলেছে। গতকাল ২৮শে নভেম্বরও আমাকে ও আমার ভাতিজা আজমেরী ওসমানের অফিসে পুলিশি তল্লাশী নিয়ে একটি উদ্দেশ্যমূলক ও অসত্য সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। অথচ, সংবাদপত্র তথা সাংবাদিকতার নীতিমালা অনুযায়ী ঐ প্রতিবেদন সম্পর্কে আমার বা আমার পরিবারের কারো বক্তব্য নেয়া বা প্রকাশ করা হয়নি। যদিও এই পত্রিকাটি সাংবাদিকতা বা সংবাদপত্রের নীতিমালা অনুযায়ী সংবাদ প্রকাশ করে বলে আমি বিশ্বাস করি না। শুধুমাত্র পত্রিকার কাটতি বাড়াতে এসব মুখরোচক ও মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে সমাজের রাজনৈতিক, ব্যবসায়ীক সমাজের চরিত্রহণন করাই এই পত্রিকাটির মূল উদ্দেশ্য।
আমি দ্যর্থহীন কন্ঠে বলতে চাই, আমার ভাতিজা আজমেরী ওসমানের অফিসে যে পুলিশি তল্লাশী হয়েছিল তা কোন অফিসিয়াল তল্লাশী বা রেইড ছিল না এটা জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাই বিভিন্ন মিডিয়ার কাছে বক্তব্য দিয়েছেন। নিছক গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তারা সেখানে গিয়েছিলেন। আর আমি এটাও অতীতের মত বলতে চাই, নারায়ণগঞ্জের আইন শৃঙ্খলা ও শান্তি রক্ষায় আমরা বদ্ধ পরিকর। কেউ বা কোন গোষ্ঠী যদি আমার বা আমার পরিবারের নাম ব্যবহার করে কোন অপকর্ম করে তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, এই সংবাদপত্রটি কোন প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী ও স্বাধীনতা বিরোধী গোষ্ঠীর অর্থায়নে পরিচালনা হচ্ছে তা আমরা জানি। ইতিপূর্বে পুলিশের হাতে গ্রেফতারকৃত শিবিরের একজন শীর্ষ নেতার জবানবন্দিতেও এর প্রমাণ উঠে এসেছে। আমরা পরিবার থেকে মানুষের চরিত্র হনন করতে শিখিনি। তারপরেও বলতে চাই, যারা অতীত ভুলে যায় তাদের মনুষত্য টিকে আছে বলে আমি বিশ্বাস করি না। এই পত্রিকার মালিকের নূণ্যতম কৃতজ্ঞতাবোধ বা অতীত মনে থাকলে তিনি আমার পরিবারের চরিত্র হনণের আগে মনে করতে বাধ্য হতেন যে, তার পরিবারের সম্মান আমি রক্ষা করেছিলাম। গভীর রাতে গিয়ে আমাকে ঘুম থেকে উঠিয়ে কে হাউমাউ করে কান্নাকাটি করেছিল আর আত্মহত্যা করবে বলে বলছিল, আমার বোন একটা বখাটে ছেলের সাথে পালিয়ে গেছে, তাকে এনে দিন। আমি ঐ সময়ে পুলিশ-প্রশাসনের সহায়তায় মাত্র ১ঘন্টার মধ্যে তার বোনকে উদ্ধার করে তার ভাইয়ের কাছে তুলে দিয়েছিলাম। কার বাবা মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার ছিল আর কে ছাত্র জীবন থেকে শিবিরের রাজনীতি করতো আমরা সেটাও জানি। আমরা এটাও জানি, এই পত্রিকার একজন কর্মকর্তা জন্মসূত্রেই পাকিস্তানের নাগরিক ছিল। ১৯৭১ সালে তাদের বাড়িতে হানাদার বাহিনী প্রতিরাতে কি উন্মত্ত পৈশাচিক আনন্দে মেতে উঠতো সে ইতিহাসও আমরা জানি। এই পত্রিকার আরেক জন কর্মকর্তা রয়েছেন যিনি নিজের সৎ বোনকে টাকার জন্য বিয়ে করেছেন এবং তার জন্মপরিচয় নিয়ে কথা বলতে গেলে তার মা কে অসম্মান করা হবে। তাই বলছি, অপরের পরিবারের চরিত্র হনন করার আগে নিজের দিকে তাকান। সাবধান হউন, সংশোধন হউন, নতুবা আপানাদের পরিবারের ইতিহাস জনগনকে সাথে নিয়েই প্রকাশ করবো। তখন এসব মিথ্যাচার আর চরিত্রহননের বিচার জনগনই করবে। পরিশেষে বলতে চাই, কেউ যদি নারায়ণগঞ্জ্রে শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট করার চেষ্টা করে বা অপরাধ করে , সে আমার দলের বা পরিবারের সদস্য হলেও অপরাধ ও অপরাধীকে কোন অবস্থাতেই প্রশ্রয় দেয়া হবেনা।
Leave a Reply