Tuesday, December 8th, 2015




সিদ্ধিরগঞ্জ সানারপাড়ে সেফটি ট্যাংকি বিস্ফোরণে আহত ॥ সুমনের মৃত্যু

P-1সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি,নারায়ণগঞ্জ প্রতিদিন ডট কম : নারায়ণগঞ্জে সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকায় জাহাঙ্গীর হোসেনের বাড়ীর সেফটি ট্যাংকি বিস্ফোরণে আহত সুমন (২৮) মারা গেছে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে বাড়ীর মালিক পুলিশ ম্যানেজ করে সন্ধ্যায় লাশ হাসপাতাল থেকেই নিহতের গ্রামের বাড়ীতে পাটিয়ে দেওয়া হয়েছে।।চিকিংসাধীন অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে গতকাল মঙ্গলবার সকালে সুমন মারা যায়।গত ৩ ডিসেম্বর বিকেলে অপরিকল্পিত ভাবে নির্মিত বাড়ীর সামনের একটি দোকানের ভিতরের সেফটি ট্যাংকি বিস্ফোরণে সে গুরুতর আহত হয়েছিল। নিহত সুমন গাজীপুর জেলা সদরের মৌচাক এলাকার মোঃ মোমেন মিয়ার ছেলে। তিনি মধ্য সানারপাড় এলাকার সাংবাদিক মোঃ আরজু মিয়ার বাড়ীতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে পিক-আপ গাড়ির চালক হিসেবে জীবীকা নির্বাহ করতো।
জানা গেছে, সানারপাড় এলাকায় একটি পাকা বাড়ি নির্মাণ করে কুমিল্লা জেলার হোমনা থানার বিজয়নগর গ্রামের দুধমিয়া প্রধানের ছেলে মোঃ জাহাঙ্গীর। ওই বাড়ীর সেফটি ট্যাংকিটি নির্মাণ করা হয়েছে অপরিকল্পিত ভাবে। ট্যাংকির দু,টি সম্মুখ অংশ করা হয়েছে বাড়ীর সমানের পশ্চিম পাশের একটি দোকানের ভিতরে। ওই দোকানটি বাড়ীর ভাড়াটিয়া চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানার ভূঁইয়ারহাট এলাকার আবদুল হাকিমের ছেলে রবিউলের কাছে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। দোকানটিতে রবিউল তৈরি পোশাকের সেলাইর কাছ করতো।ঘটনার দিন গত ৩ ডিসেম্বর বিকেল ৪ টায় সুমন ওই দোকানে প্যান্ট সেলাই করতে যায়।এসময় হঠাৎ ওই সেফটি ট্যাংকি বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের শক্তি এতই ভায়াবহ হয় যে, দোকানের শাটার ভেঙ্গে চলে যায় রাস্তায়। আগুন ধরে যায় সুমনের সমস্তদেহে।এতে রবিউল ও সুমন আহত হয়। তবে সুমনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে ভর্তি করা হয়।অর্থ অভাবে যথাযত চিকিৎসা করতে না পারায় সুমন ৬ দিন পর গতকাল মঙ্গলবার সকালে মারা যায়।
অভিযোগ জানা গেছে, ঘটনার পর বাড়ীর মালিক পক্ষ থেকে কোন ধরনের সহায়তা না করে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালায়। সুমন নিহত হওয়ার পরও বাড়ীর মালিক পক্ষের লোকজন থানা পুলিশ ম্যানেজ করে লাশ হাসপাতাল থেকেই নিহতের গ্রামের বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়।
স্থানীয়রা জানায়, জাহাঙ্গীর বাড়ীর সেফটি ট্যাংকিটি যে ভাবে নির্মাণ করা হয়েছে তা একটি মরন ফাঁদ। দেশের আর কোন বাড়ীতে এমন ভাবে সেফটি ট্যাংকি নির্মাণ করা হয়েছে বলে ধারনা করাও অকল্পনিয়।সেফটি ট্যাংকির দু,টি মুখ রাখা হয়েছে দোকানের ভিতরে। ট্যাংকির ভিতর থেকে গ্যাস বের হওয়ার কোন ব্যাবস্থা না রাখায় আকস্মিক বিস্ফোরিত হয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।সরেজমিন পরিদর্শন করে এ বাড়ীর মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছে নিহতের স্বজন ও এলাকবাসী। যাতে এ ধরনের ঘটনার পূনরাভিত্তি না ঘটে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category