অনলাইন ডেস্ক,নারায়ণগঞ্জ প্রতিদিন ডট কম : নারায়ণগঞ্জ মুক্তিপণ হিসাবে মোটা অঙ্কের অর্থ পাওয়ার আশায় মালয়েশিয়াপ্রবাসী হযরত আলীর পাঁচ বছরের মেয়ে হাফসা আক্তার ওরফে রূপাকে অপহরণ করা হয়েছিল। আদালতে এ কথা বলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন দুই আসামি ফজলে রাব্বি ও মো. মামুন। আজ শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ইশতিয়াক আহম্মেদের আদালতে গ্রেপ্তার হওয়া দুই আসামির জবানবন্দি নেওয়া হয়।ফজলে রাব্বি ও মামুনের আদালতে দেওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, গত বুধবার রাতে আড়াইহাজার উপজেলার গিরদা এলাকার একটি খোলা মাঠে বসে সুমন, ফজলে রাব্বি, শাহাজাহান, সোহান, মামুন, শফিকুর ও রাকিব হাফসাকে অপহরণের এই পরিকল্পনা করেন। মূল পরিকল্পনাকারী সুমন। পরদিন বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে হাফসা বাড়ির পাশে খেলার সময় সুমন, শফিক ও মামুন তাকে অপহরণ করেন। পরে ফজলে রাব্বির মোবাইল ফোন থেকে অপহরণকারীরা গিরদা বাজারের ফ্লেক্সি লোডের দোকানের মালিক লোকমানের কাছে ফোন করে হাফসাকে অপহরণ করার কথা জানান। সাড়ে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে মেয়েকে ছাড়িয়ে নিতে মা লিপি আক্তারকে খবর দিতে বলা হয়। হাফসার পরিবারের লোকজনের গতিবিধির ওপর নজর রাখতে মামুনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। রাতে পুলিশের তৎপরতা বাড়লে কোনো এক সময় হাফসাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বাড়ির ২০০ গজের মধ্যে ফেলে রেখে অপহরণকারী অন্য সদস্যরা পালিয়ে যান।সাখাওয়াত হোসেন বলেন, শিশু হাফসাকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় মা লিপি আক্তার বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। এই ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। অন্য চারজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply