বিশষে সংবাদদাতা: ফতুল্লা মডেল থানায় এমন কোন দারোগা নাই যে আমাকে গ্রেফতার করার সাহস পাবে। এমন দম্ভোক্তি করেছেন ফতুল্লার দেলপাড়া এলাকার ভাড়াটিয়া,ব্লাকমেইলার ও এক সময়ের শীর্ষ সন্ত্রাসী মুর্তিমান আতংক পলাশের সহযোগী সেলিম ওরুফে বরিশাইল্লা সেলিম।
জানা গেছে, সদর উপজেলার ফতুল্লা থানাধীন নন্দলালপুর রেললাইন এলাকার বাসিন্দা অসহায় শিল্পী বেগমের সরলতার সুযোগ নিয়ে রং নাম্বারে সম্পর্ক তৈরি করে একই থানাধীন দেলপাড়া এলাকার ভাড়াটিয়া,ব্লাকমেইলার ও এক সময়ের মূর্তিমান আতংক সন্ত্রাসী পলাশের সহযোগী সেলিম ওরুফে বরিশাইল্লা সেলিম। ওই অসহায় নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সম্ভ্রমসহ নগদ টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয় ওই লম্পট সেলিম। পরে শিল্পী বেগমের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় সে। হঠাৎ একদিন সেলিমের সাথে জেলা আদালতে দেখা হয় শিল্পীর। তখন শিল্পী তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়ার কথা জিজ্ঞাসা করার সাথে সাথে সেলিম তাকে এলোপাথারি ভাবে মারধর করে রক্তাক্ত ও গুরুতর জখম করে ফেলে চলে যায়। এ ঘটনায় শিল্পী বেগম বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগের পেক্ষীতে ফতুল্লা মডেল থানার (সদ্য বরখাস্তকৃত) এস আই মিজান-৩ সেলিমকে আটক করে নিয়ে আসে থানায়। পরে লম্পট সেলিম শিল্পীকে ৭ দিনের মধ্যে বিয়ে করবে বলে সময় নিয়ে কোন মতে ছুটে আসে। থানা থেকে এসে সে আর কোন রকম যোগাযোগ করেনি শিল্পীর সাথে। পরে উল্টো ওই ঘটনাকে ধামা-চাঁপা দিতে জেলা আদালতে একটি মিথ্যা টাকার মামলা দায়ের করে সেলিম নামের ওই প্রতারক। শুধু তাই নয় বিভিন্ন সময় শিল্পীর ব্যবহৃত ফোন নাম্বারে ফোন করে সেলিম হুমকি-ধামটি দিয়ে আসছে। প্রায়ই সে দদ্ভোক্তি করে বলে তুই তোর পুলিশ বাবাদের দিয়ে আমার কিছুই করতে পারবি না। এছাড়া ফতুল্লা থানায় এমন কোন দারোগা নেই যে আমাকে (সেলিম) গ্রেফতার করার সাহস পাবে। তোর যদি ২০ জন দারোগা থাকে তাহলে আমার পরিচিতও ১০ জন দারোগা আছে। উল্টো তোকে জেলের ভাত খাইয়ে ছাড়বোসহ নানা প্রকার হুমকি ধামকি দিচ্ছে শিল্পী বেগমকে। বর্তমানে শিল্পী বেগম তার অব্যাহত হুমকিতে সন্তানদের নিয়ে ভয়ে জীবন যাপন করছেন। যেকোন সময় তার বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করতে পারে ওই লম্পট সেলিম ও তার দলবল। পাশাপাশি লম্পট সেলিমের দলে কিছু সাংবাদিক নামধারী কতিথ কিছু হলুদ সাংবাদিক রয়েছে যারা টাকার বিনিময় সেলিমকে শেল্টারসহ শিল্পীর বিরুদ্ধে নানা প্রকার মিথ্যা অপ-প্রচার চালাচ্ছে। তাকে সমাজে হেয় করার জন্য এক নোংরা খেলায় মেতে উঠেছে সেলিমসহ তার সাঙ্গ পাঙ্গরা।
শিল্পী বেগম জানায়, সেলিম’র সাথে আমার রং নাম্বারে পরিচয় হয়। পরে সে আমাকে বিয়ে করার কথা বলে। সেই সাথে আমার পরিবারের সাথে মিশে যায়। যখন আমার সম্ভ্রম ও নগদ অর্থের ক্ষতি সাধনে মিশন সম্পর্ন হয়। তখন সে আমার সাথে পল্টি নেয়। এছাড়া সে আমাকে কারনে-অকারনে অহেতুক মারধর করতো। এ বিষয়ে আমি একটি অভিযোগ দায়ের করি ফতুল্লা থানায়। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায়। পরে সে আমাকে ৭ দিনের মধ্যে বিয়ে করবে বলে সময় নিয়ে আসে। পরে আমার সাথে সে আর কোন যোগাযোগ করে নাই। একদিন কোর্টে তার সাথে আমার দেখা হলে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে সে আমাকে উপর্যপুরি মারধর করে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে আমি হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে থানায় অভিযোগ করি। এতে পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে আসে। এরপর থেকেই সে আমাকে নানা ভাবে টেলিফোনে হুমকি দিয়ে আসছে। কখনও বলে তুই কিভাবে থাকবি তা আমি দেখে নেব, তোকে একদিন হলেও জেল খাইয়ে ছাড়ব। পাশাপাশি আইন-শৃক্ষলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়েও সে খারাপ মন্তব্য করতে দ্বিধা করেনি। সে বলে ফতুল্লা থানায় এমন কোন দারোগা নেই যে আমাকে গ্রেফতার করতে সাহস পাবে। তোর যদি ২০ জন থাকে তবে আমারও ১০ জন দারোগার সাথে ভাল সম্পর্ক আছে। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। সেই সাথে শিল্পীর দাবী সেলিমকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের অওতায় আনা হোক।
Leave a Reply