নারায়ণগঞ্জ প্রতিদিন ডট কম: বাংলাদেশ পুলিশ ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীরা জেলার পরীক্ষার দিন ও সময় সম্পর্কে অনলাইনে বাংলাদেশ পুলিশের ওয়েবসাইট www.police.gov.bd/recruitment/img009.jpg লিংকে গিয়ে জানতে পারবেন।
বাংলাদেশ পুলিশের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সারা দেশের মোট ৬৪টি জেলা মধ্যে নারায়ণগঞ্জে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে মোট ১’শ ৭৫ জন ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে পুরুষ ১’শ ৪৯ জন এবং ২৬ জন নারী কনস্টেবল পদ নিয়োগ দেওয়া হবে। শারীরিক মাপ ও শারীরিক পরীক্ষা হবে আগামী ৫ ডিসেম্বর, লিখিত পরিক্ষার হবে ৭ ডিসেম্বর ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১২ ডিসেম্বর ২০১৫।
আগামী ৫ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইন্স মাঠে নারায়ণগঞ্জ জেলায় স্থায়ী বাসিন্দাদের মধ্য হতে এসএসসি অথবা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (পুরুষ/নারী) পদে নিয়োগ করা হবে। নির্ধারিত তারিখে তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং ‘‘১-২২১১-০০০০-২০৩১’’ কোডে ১০০/-টাকার ব্যাংকে জমাকৃত ট্রেজারী চালান কপিসহ উপস্থিত থাকার জন্য আহবান করা হয়েছে।
এ ব্যপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান নারায়ণগঞ্জ প্রতিদিন ডটকে জানান, আগামী ৫ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় আগ্রহী প্রার্থীদের বাছাই করা হবে।
পুলিশ সুপার ড. খঃ মহিদ উদ্দিন বলেন, নির্ধারিত ফ্রি ব্যাংকে জমাকৃত ট্রেজারী চালান কপি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ উপস্থিত হতে হবে। এ ব্যপারে জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত বিজ্ঞাপনে সকল প্রকার তথ্য আছে।
বাংলাদেশ পুলিশের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আবেদনের যোগ্যতা: ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে আবেদনের জন্য নারী-পুরুষ উভয়েরই এসএসসি অথবা সমমানের পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ ২.৫০ থাকতে হবে এবং আগামী ১ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। তবে মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের ক্ষেত্রে আগামী ১ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের সন্তানের ক্ষেত্রে বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। নারী-পুরুষ উভয় প্রার্থীকে অবশ্যই অবিবাহিত হতে হবে।
পুরুষ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে শারীরিক উচ্চতা কমপক্ষে ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি, বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩১ ইঞ্চি এবং সম্প্রসারিত অবস্থায় ৩৩ ইঞ্চি হতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পুরুষ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুধু মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের উচ্চতা হতে হবে কমপক্ষে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি, বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩০ ইঞ্চি এবং সম্প্রসারিত অবস্থায় ৩১ ইঞ্চি হতে হবে। তবে মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের সন্তাানদের পুরুষ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সাধারণ ও অন্যান্য কোটার পুরুষ প্রার্থীদের উচ্চতা ও বুকের মাপের শর্ত প্রযোজ্য হবে। উপজাতীয় কোটায় পুরুষ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে উচ্চতা কমপক্ষে পাঁচ ফুট চার ইঞ্চি, বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩১ ইঞ্চি এবং সম্প্রসারিত অবস্থায় ৩৩ ইঞ্চি হতে হবে। আর সকল কোটার নারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে উচ্চতা হতে হবে কমপক্ষে ৫ ফুট ২ ইঞ্চি।
প্রার্থীদের নির্ধারিত তারিখ, সময় ও স্থানে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ উপস্থিত হয়ে বিধিমোতাবেক শারীরিক মাপ এবং শারীরিক পরীক্ষায় (দৌড়, রোপিং ও জাম্পিং ইত্যাদি) অংশ নিতে হবে। সেখানে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপার পরবর্তী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রবেশপত্র ইস্যুকরণসহ লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের কেন্দ্রের স্থান নির্ধারণ করে প্রার্থীদের অবহিত করবেন।
শারীরিক মাপ ও শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের পরবর্তী সময়ে নির্ধারিত স্থানে ও দিনে দেড় ঘণ্টাব্যাপী ৪০ মিনিটের পরীক্ষা দিতে হবে। সেখানে শতকরা ৪৫ শতাংশ নম্বর পাওয়া প্রার্থীরা পরে ২০ নম্বরের মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হবেন। সেখান থেকেও শতকরা ৪৫ শতাংশ নম্বর পাওয়া প্রার্থীরা প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হবেন।
এরপর পুলিশ ভেরিফিকেশনে সন্তোষজনক এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষায় যোগ্য বিবেচিত হলে নির্বাচিত প্রার্থীদের প্রশিক্ষণের জন্য প্রাথমিকভাবে মনোনীত করা হবে। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের প্রশিক্ষণকেন্দ্রে যোগদানের পর পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত পুনঃ বাছাই কমিটি কর্তৃক শারীরিক যোগ্যতাসহ অন্যান্য তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের পর চূড়ান্তভাবে প্রশিক্ষণের অন্তর্ভূক্ত করা হবে। চূড়ান্ত প্রশিক্ষণের সুযোগ পাওয়া প্রার্থীদের ছয় মাস মেয়াদি মৌলিক প্রশিক্ষণে অংশ নিতে হবে।
এদিকে, চাকুরী দেয়ার প্রলোভনে কোন মাধ্যম/দালালের খপ্পরে না পড়ার জন্য সতর্ক করার লক্ষ্যে বিজ্ঞাপনের নিচে যোগ করা হয়: ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (পুরুষ/নারী) পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোন প্রকার আর্থিক লেনদেন এ জড়িত এবং প্রতারিত হবেন না। কোন প্রার্থী তদবির করলে তা লিপিবদ্ধ করা হবে এবং প্রার্থীর চরম অযোগ্যতা হিসাবে গণ্য করা হবে।
Leave a Reply