ডেস্ক রিপোর্ট,নারায়ণগঞ্জ প্রতিদিন ডট কম : চট্টগ্রামের একটি উপজেলার খাদ্য বিভাগের এক নারী কর্মচারীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে আজ রোববার দুপুরে নগরের বাকলিয়া থানায় মামলা হয়েছে। জমি-জমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে এই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মামলাটি দায়ের করেন নারীর ছোট ভাই। মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার এক নম্বর আসামি মিফতাউল আলম (২৫) ওই নারীর আত্মীয়। অপর তিন আসামি হলেন ইফতেখার পন্নী (২৬), মো. সজিব (২৫) ও মো. ইব্রাহিম (৩৫)।
ওই নারী বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় কল্পলোক আবাসিক এলাকায় তাঁর সিএনজি অটোরিকশাটি পৌঁছালে একটি মাইক্রোবাস এসে গতিরোধ করে। চার থেকে পাঁচজন যুবক তাঁকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মুখ চেপে ধরে মাইক্রোবাসে তুলে চোখ বেঁধে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়। সেখানে একটি ঘরের মধ্যে মুখ বেঁধে ছয় সাতজন তাঁকে ধর্ষণ করে। তিনি চারজনকে চিনতে পেরেছেন বলে জানান। তিনি বলেন, শুক্রবার রাতে সিএনজি অটোরিকশায় করে ওই ঘর থেকে তাঁকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার সময় টহল পুলিশের ভয়ে রাস্তার পাশে ফেলে দেয়। পরে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। শনিবার বিকেলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত বুধবার সন্ধ্যায় কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার সময় ওই নারীকে নগরের বাকলিয়া থানাধীন কল্পলোক আবাসিক এলাকা থেকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের দুই দিন আগে তাঁর মামাতো ভাইদের সঙ্গে গ্রামের বাড়ি আনোয়ারায় জমি সংক্রান্ত ব্যাপারে বাগ্বিতণ্ডা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। অপহরণের দুই দিন পর শুক্রবার রাতে রাঙ্গুনিয়ায় রাস্তার পাশ থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়।
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল মনছুর বলেন, মামলায় অপহরণ, মুক্তিপণ এবং গণধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে। বাকলিয়া থেকে অপহরণ করে রাঙ্গুনিয়ায় নিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে করছি। ওই নারী যে চারজনকে চিনতে পেরেছেন তাদের মধ্যে একজন তাঁর আত্মীয়।
Leave a Reply