Tuesday, December 8th, 2015




লেডি কিলার ডাক্তার জাহাঙ্গির॥অপকর্ম যেন তার পেশা

jpg 4বিশেষ প্রতিবেদক,নারায়ণগঞ্জ প্রতিদিন ডট কম : নারায়ণগঞ্জ চক্ষু হাসপাতালের ডাক্তার জাহাঙ্গির তার মিশনপাড়ার অফিসের চারতলায় তৈরি করেছে লেডি কিলিং স্পট।
অনুসন্ধ্যানে জানা গেছে,শহরের মিশনপাড়া এলাকায় অবস্থিত নারায়ণগঞ্জ চক্ষু হাসপাতালের মালিক ডাক্তার জাহাঙ্গির একজন নারী পিপাসু লপ¥ট ব্যাক্তি। এই ভন্ড ডাক্তার সুন্দরী মেয়েদের চাকুরির প্রলোভন ও মোটা অংঙ্কের টাকা দিবে বলে
তাদের ইজ্জত কেড়ে নিয়ে তাকে চাকুরি থেকে বরখাস্ত করে দেয় এমন অভিযোগ হর হামেশাই শোনা যায়।কিন্তু এই লম্পটের বিরুদ্ধে কোন মেয়ে প্রতিবাদ করেনি।কেননা তার কিছু দালাল রয়েছে যারা তার অপকর্মের বিষয়ে ধামা চাপা দিতে ব্যস্ত থাকে।অনেক মেয়েরা তাদের সম্ভ্রম হারিয়ে নিরবে চলে গেছে।তার খবর কেউ জানেনা।কিন্তু সাম্প্রতিক লম্পট জাহাঙ্গিরের হাসপাতালে চাকুরিরত একটি মেয়ে লতাকে ডেকে নিয়ে যায় তারই হাসপাতালে থাকা ৪ র্থ তলার অপারেশন কক্ষে।সেখানে ডেকে নিয়ে তাকে জোর করে শ্লীলতাহানী করার চেষ্টা করলে তার চিৎকারে অন্যান্য লোকজন ছুটে আসলে শেষ রক্ষা পায় লতা।এই ভাবে জাহাঙ্গির কত মেয়ের জীবন যে ধ্বংস করেছে তার কোন হিসেব নেই।হাসপাতালের অভ্যান্তরে বেশীরভাগ চাকুরি দেয়া হয়েছে সুন্দরী মেয়েদেরকে।তার যখন যাকে ভোগ করতে মনে হয় তখন তাকেই তিনি ভোগ করে থাকেন।কেউ মুখ খোলে আবার কেউ মুখ খোলে না চাকুরি হারানোর ভয়ে।এই নারী লিস্পু ডাক্তার জাহাঙ্গির একে একে ৪ টি বিয়ে করেছে।তার বড় স্ত্রী ঢাকায়,দ্বিতীয় স্ত্রী নারায়ণগঞ্জের গাবতলীতে,তৃতীয় স্ত্রী পঞ্চবুটি রুশেন হাউজিং এ আর ৪ র্থ জন শহরের কোন এক বাসায় ভাড়া বাড়িতে রেখেছে বলে সুত্রটি জানায়।তাছাড়া এই রকম কতজন রক্ষিতা যে তার রয়েছে সে বিষয়ে কোন নির্দ্দিষ্ট তথ্য কারোরই জানা নাই।তবে তার ষ্টাফরা বলছে জাহাঙ্গিরের নেশাই হলো প্রতিদিন একটি করে নতুন মেয়ে লোক তার চাই। মেয়ে লোকের নেশায় একে একে সে ৪ টি বিয়ে করেও ক্ষান্ত হয়নি লম্পট ডাক্তার জাহাঙ্গির।
এ বিষয়ে ধর্ষনের স্বীকার লতা জানায়,আমি কয়েক মাস যাবত নারায়ণগঞ্জ চক্ষু হাসপাতালে চাকুরিতে যোগদান করি।সে প্রায়ই আমাকে বিভিন্ন সময়ে আকারে ইঙ্গিতে যৌন হয়রানি করত।কিন্তু ওই দিন সে আমাকে অপারেশন কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষনের চেষ্টা করে। আমার চিৎকারে আসে পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আমি রক্ষা পাই। এ বিষয়ে সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।থানা থেকে এই বিষয়টি তদন্তের জন্য এস আই ফরিদকে দায়ীত্ব দেয়া হয়েছে।শুনেছি এস আই ফরিদ ডাক্তার জাহাঙ্গিরের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা খেয়ে বিষয়টি ধামাচাঁপা দেয়ার চেষ্টা করছে। জানিনা সঠিক বিচার পাবো কিনা।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ চক্ষু হাসপাতালের ডাক্তার ও মালিক জাহাঙ্গিরের সাথে তার মুঠোফোনে (০১৭১৬১২১৪২৮) নম্বরে একাধিকবার ফোন করলে তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে সদর মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) আবদুল মালেক নারায়ণগঞ্জ প্রতিদিন ডট কম’কে জানান,ডাক্তার জাহাঙ্গিরের বিষয়ে সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে।তদন্ত চলছে,তদন্ত সাপেক্ষে আইগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category