শহর প্রতিবেদক,নারায়ণগঞ্জ প্রতিদিন ডট কম ঃ নারায়ণগঞ্জ জেলাজুড়ে নানা জল্পনা কল্পনা ও আলোচনা সমালোচনার পর গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে ভোররাত অব্দি পুলিশ, র্যাব ও আর্ডম পুলিশের বিশাল দল শহর ও আশেপাশের এলাকায় সাড়াসী অভিযান চালিয়েছে। খানপুর থেকে প্রয়াত সংসদ সদস্য নাসিম ওসমানের ছেলে আজমীর ওসমানের সহযোগি খ্যাত ও জাতীয় পার্টির নেতা আক্তার নূরকে গ্রেফতার করা হয় ।
শহরের নিতাইগঞ্জের সনি, রন্টি, ফুডল্যান্ডের হাবিবসহ অনেকের বাড়ীতে অভিযান চালালেও সকলেই পালিয়ে যায় বলে জানিয়েছে অভিযানে থাকা পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা ।
জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে একে একে পুলিমের একাধিক টিম, র্যাব ১১ এর টিম ও বিজিবির এক প্লাটুন সদস্য সদর থানায় হাজির হলে কৌতহল দেখা দেয় শহরব্যাপী । অপরদিকে শহরের খানপুরে আজমীর ওসমানের খানপুরের কার্য্যালয় রাত নয়টা থেকেই ঘিরে রাখে পুলিশের একটি টিম ।
এমতাবস্থায় সাড়াসী অভিযানে অংশ নেয়া যৌথ টিম মধ্যরাতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায় । শীতলক্ষার রন্টির বাড়ী, পাইকাড়াস্থ ফুডল্যান্ডের মালিক হাবিবের বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে কাউকে না পেয়ে খানপুরের আক্তার নূর এর বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে আক্তার নূর (৪২) কে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে । এরপর আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার এই দল সিদ্ধিরগঞ্জের একাধিক এলাকায় হানা দেয় ।
গ্রেফতারের পর আক্তার পুলিশকে উদ্দেশ্য করে জানায়, আজমীর ওসমানকে কিছু না করতে পেরে আমাদের উপর এই নির্যাতন চালানো হচ্ছে । আমরা জানি কারা এই কাজ করছে ।
আক্তার নূর কে ২(১)১৫ নম্বর সদর থানায় দায়ের করা বিএনপির জ্বালাও পোড়াও মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে সদর থানা। পুলিশ প্রতিবেদনে জানা যায় আক্তার নূর বিভিন্ন সময় খানপুরে দাঙ্গা হাঙ্গামা করে নানা ধরনের নাশকতা ছাড়াও ব্যাপক চাঁদাবাজি করে আসছে ।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে পুলিশের নেতৃত্বে যৌথ অভিযান সম্পর্কে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল মালেক জানান, এই অভিযান আমাদের নিয়মিত অভিযান । এমন অভিযান আমাদের চলবে। শহরের পরিস্থিতি শান্ত রাখতেই এমন অভিযান বলেও মন্তব্য করে ওসি আবদুল মালেক ।
গ্রেফতারকৃত আক্তর নুর সম্পর্কে তিনি আরো জানান, আক্তার একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী । তার বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে ।
উল্লেখ্য কয়েকদিন পূর্বে খানপুরে আক্তার নূরের বাসায় যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে ২টি মটর সাইকেল জব্দ করেছিল। সে সময় আজমীর ওসমানও উপস্থিত ছিল। তবে সেদিন কাউ’কেই গ্রেফতার করা হয়নি। সেই দিনের সংবাদ প্রকাশের পর আক্তার নূর নামটি সর্বত্র আলোচনায় চলে আসে।
Leave a Reply