নারায়ণগঞ্জ প্রতিদিন.কম : শীত মৌসুমে লেপ ও তোষক তৈরির হিড়িক থাকার কথা থাকলেও শহরের কালীরবাজার গিয়ে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। শীত মৌসুমে প্রতিটি দোকানীর প্রায় ৩ হতে ৪’শ লেপ তোষক তৈরির করার কথা থাকলেও কারবারী ও কারিগররা অবসর সময় পার করছে। লেপ তোষকের ঐতিহ্য যেন হারিয়ে যেতে বসেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কালীরবাজার কসাইপট্টিতে ৪টি, চারারগোপ ৬টি, নারায়ণগঞ্জ ডাকঘর সংলগ্ন ফুটপাতে ১৬টি লেপ ও তোষক তৈরির দোকান রয়েছে। ২৬টি দোকানের প্রায় সব গুলোর একই অবস্থা। শীত মৈৗসুমে লেপ ও তোষক তৈরির জন্য ২’শ কারিগর থাকলেও কাজের চাহিদা অনুযায়ী মাত্র কাজ করেছে ৫০/৬০জন। গত বছরের তুলনায় বর্তমানে এর চাহিদা ৪ ভাগের ১ ভাগে নেমে এসেছে। দোকান ভাড়া, কারিগরদের মুজুরী দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে ক্ষুদ্র এ ব্যবসায়ীদের। এমনটাই জানালেন কালীরবাজারের লেপ তোষক কারবারীরা।
কম্বল সহজলভ্য হওয়ায় শীতের মৌসুমে লেপের ব্যবহার দিন দিন একেবারে কমে যাচ্ছে অপর এক ব্যবসায়ী মো: সেলিম এমনটাই দাবি করেন। তিনি বলেন, ফেরিওয়ালার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বাড়িতে বসেই মা-বোনেরা ক্রয় করছেন কম্বল, লেপ ও তোষক। আমাদের ক্রেতাও কমে গেছে।
লেপ ও তোষক কারবারী কারিগর সংগঠনের সভাপতি মো: হোসেন জানান, গরম মৌসুম থেকেও ব্যবসা খারাপ। তুলার দাম পাইকারী বাজারে বাড়তি কিন্তু খূচরা বাজারে বাড়েনি। এখন সংসারের খরচ চালাতে কষ্ট হচ্ছে। ২৬টি দোকানের সাথে প্রায় ৩’শ পরিবার যুক্ত রয়েছে।
Leave a Reply