Monday, December 14th, 2015




সোনারগাঁও জেনারেল হাসপাতালের সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় তোলপাড়

 

বন্দর থানা প্রতিনিধি,নারায়ণগঞ্জ প্রতিদিন ডট কম ঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের নয়াপুর জেনারেল হাসপাতালের দূনীতির বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েয়ে বলে জানা গেছে।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের সাদিপুর ইউনিয়নের নয়াপুর বাজারস্থ নয়াপুর জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডিজিটাল ল্যাব লিঃ নামের প্রতিষ্ঠানটি রোগীদের মৃত্যুপুরীতে পরিনত হয়েছে। হাসপাতালের দালাল চক্রের দৌরাত্মের কারনে আশপাশ এলাকার রোগীরা অন্য কোন হাসপাতাল সম্পর্কে বুঝে উঠার আগেই দালালরা এখানে তাদের ভর্তি করিয়ে দেয়। এ প্রতিষ্ঠানে নামিদামী ডাক্তারদের সাইনবোর্ড ও উন্নত মানের যান্ত্রীক বা ল্যাব সুবিধার নাম করে সহসাই নার্স বা হাসপাতালের স্টাফ দ্বারা চিকিৎসা করে হচ্ছে। হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।

নির্ভরযোগ্য সূত্র মারফত জানা যায়, নয়াপুর জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডিজিটাল ল্যাব লিঃ নামের প্রতিষ্ঠানটি কিছু জামায়াত শিবির নেতাদের দ্বারা পরিচালিত। এই হাসপাতালে গত শুক্রবার একজন নবজাতক ও অতি সম্প্রতি নানাখী গ্রামের ১ নবজাতক ও প্রসূতি মায়ের মৃত্যু ঘটে। ঘটনার সত্যতা জানতে গিয়ে হাসপাতালের ২০৭ নং বেডে শুয়ে থাকা সদ্য সন্তান হারানো মা সুমাইয়ার (২৫) সাথে কথা বলতে গেলে তাকে জীর্ণ শীর্ণ জামা পড়া ও শোকে মুহ্যমান অবস্থায় কান্না জড়িত কন্ঠে পাওয়া যায়। কথা বলার সময় দু-চোঁখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ছিল। ভিকটিম সুমাইয়ার সাথে কথা বলে জানা যায়, জাঁমপুর ইউনিয়নের কলতাপাড়া গ্রামের শ্যামল মিয়ার গর্ভবতী স্ত্রী সুমাইয়া (২৫) তীব্র প¯্রব ব্যথা অনুভব করার পর দ্রুত কমিশন ভোগী দালালরা নয়াপুর জেনারেল হাসপাতালে তাকে ভর্তি করে। ভর্তির পর সেদিন সন্ধ্যায় সিজার করা হলে সুমাইয়া ছেলে বাচ্চা জন্ম দেয় এবং জন্মের পর তার বাচ্চাকে জীবিত দেখেছেন বলে আশ্বস্ত করে সুমাইয়া কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। জন্মের পর পর গরম তাপ দেওয়ার জন্য গ্যাসের চুলার কাছে নিয়ে বাচ্চার গায়ে তাপ দিলে শিশুটির অবস্থা খারাপ হতে থাকে। এক পর্যায়ে বাচ্চাকে অন্য হাসপাতালে নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষ অক্সিজেন ছাড়া সিএনজিতে উঠালে অল্প সময়ের মধ্যেই শিশুটি মারা যায়। অনেক ভুলিয়ে রাখার চেষ্টা করা হলেও শেষে অভাগী মা সুমাইয়া তার সন্তানকে মৃত হিসেবে দেখতে পেয়ে শোকে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। শুধু এমন একটি ঘটনাই নয়। গত কয়েকে দিন আগে সাদিপুর ইউনিয়নের নানাখী গ্রামের আরেক প্রসূতিকে অপারেশন কক্ষে নেওয়ার পর পেটের চামরা কেটে ডাঃ অপারেশন করতে ব্যর্থ হলে কোন মতে সেলাই করে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করার সময় পথের মধ্যে মা ও নবজাতক উভয়ই মারা যায়। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী যথেষ্ট ক্ষোভ প্রকাশ করার পাশাপাশি দ্রুত উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে ভূক্তভোগীরা।

এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক মাজেদুল ইসলাম ও চেয়ারম্যান তাওলাদ হোসেনকে হাসপাতালে না পেয়ে তাদের ফোন করলে তারা জানায়, কিছু ভুল পরিচালনার কারনে এ ঘটনা গুলো ঘটেছে। ভূক্তভোগীদের সাথে মিমাংসা করা জন্য চেষ্টা চলছে। কিন্তু এর চেয়ে বেশী কিছু বলতে তারা রাজি হননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category