Monday, December 14th, 2015




বন্দরে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশে তোলপাড়

bondor-300x187নারায়ণগঞ্জ প্রতিদিন ডট কম : নারায়ণগঞ্জের বন্দরের কুড়িপাড়া এলাকার চিহ্নীত সন্ত্রাসী সালাউদ্দিনের (৫২) কর্মকান্ড নিয়ে রাজপথ বার্তা ও নারায়ণগঞ্জ প্রতিদিন ডট কম অনলাইনে প্রকাশিত হওয়ায় এলাকায় তোলপার।
নারায়ণগঞ্জে বন্দরের চাঁপাতলী এলাকায় সিটি করর্পোরেশনের সরকারি রাস্তা জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে এলাকার চিহ্নীত সন্ত্রাসী সালাউদ্দিন ।
জানা গেছে,নারায়ণগঞ্জ সিটি করর্পোরেশনের বন্দর থানাধীন চাঁপাতলী থেকে কাাঁটাখালী ব্রীজ পর্যন্ত রাস্তাটিতে বাশেঁর বেড়া দিয়ে আটকে রেখেছে উক্ত এলাকার মৃত কাশেমের ছেলে চিহ্নীত সন্ত্রাসী,ধর্ষন মামলার আসামী,ভূমি দস্যু সালাউদ্দিন গংরা। সে দীর্ঘদিন যাবত এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছে এক প্রভাশালী নেতা ও মুছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন মাকসুদের ছত্রছায়ায়। সালাউদ্দিন এলাকার মুর্ত্তিমান আতংকে পরিনত হয়েছে। বিভিন অপকর্ম করে পার পাওয়ায় সে একের পর অপরাধ করে যাচ্ছে । এলাকায় ভয়ে কেউ মুখ খুললে চাননা । তাকে মারধর এবং হত্যা করার হুমকি দিয়ে থাকে। তার নামে বেনামে হত্যা সহ প্রায় দেড় ডজন মামলা রয়েছে । তার সহযোগী হিসেবে কাজ করে একই এলাকার ছিচকে সন্ত্রাসী ঘোড়া দেলোয়ার,মহসিন,তুহীন,রবিন,সম্্রাট সহ আরো অনেকে। উক্ত এলকায় কোন সুন্দরী নারী দেখলে তাকে কু-প্রস্তাব দেয় । এতে যদি কেউ রাজি না হয় তাহলে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষন করে থাকে । তার ভয়ে এলকায় কোন ভাড়াটিয়া থাকতে পারে না । স্থানীয়দের মধ্যে চাঁপা ক্ষোভ বিরাজ করছে । যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে এই আশংকা করছে সাধারন মানুষ।
খোজ নিয়ে আরো জানা গেছে,বন্দর এলাকার এক বাসীন্দা ঘোড়া দেলোয়ার ও নাঙ্গলবন্ধ এলাকার মহসিনকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে । ঐ এলাকায় কোন ঝামেলা হলে সে আগ বাড়িয়ে গিয়ে সমাধান করার কথা বলে মোটা অংকের টাকা খেয়ে সরে যায়। এই ভাবে অপকর্ম করায় তার উপরে এলাকার সাধারন মানুষ অতীষ্ট হয়ে পরেছে । সেই সাথে তার নিকট থেকে মুক্তি চায় মানুষ । সাধারন মানুষের দাবী এই আসনের এমপি একে এম সেলিম ওসমান যাতে বিষয়টি নজরদারী করেন ।
নাম প্রকাশে আিনচ্ছুক এক ব্যাবসায়ী নারায়ণগঞ্জ প্রতিদিন ডট কমকে জানান,সন্ত্রাসী সালাউদ্দিন বাহিনীর কাছে পুরো এলাকার মানুষ আজ জিম্মি । সে এলাকায় মারারি,হানাহানি,ধর্ষন,হত্যা ও চাঁদাবাজি সহ নানা অপকর্ম করে চলেছে । তার ভয়ে আমরা ব্যাবসা শান্তিপূর্নভাবে বানিজ্যে করতে পারছিনা। এমনিতেই ব্যাবসার পরিস্থিতি ভালনা। তার উপর আবার তাকে চাঁদা দিতে হয় । না দিলে মারধর ও জোরপূর্বক জিনিস পত্র নিয়ে চলে যায়। এই ঘটনা এলাকার স্থানীয় চেয়ারম্যানকে বহুবার বললেও সে কোন ব্যবস্তা নেয়নি বরং ঐ সন্ত্রাসীকে মদদ সহ টাকা পয়সার জোগান দিয়ে আসছে । ফলে সালাউদ্দিন দিনে দিনে চরম বেপরোয়া হয়ে পরেছে । তার সাথে চেয়ারম্যানের দুই ভাতিজা রয়েছে । তারা হলো রবীন ও তুহীন । সালাউদ্দিনের প্রভাবে তারাও এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব চালাচ্ছে । কিছুদিন আগে জহিরউদ্দিন নামে এক সাংবাদিককে মারধর করার চেষ্টা করেছে । এদের হাত থেকে আমরা বাঁচতে চাই । তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে াাসার জন্য সাংসদ সেলিম ওসমানের হস্তক্ষেপ জরুরী বলে এলাকাবাসী মনে করেন ।
এ বিষয়ে ২৭ নং ওয়াড কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম নারায়ণগঞ্জ প্রতিদিন ডট কম’কে জানান,সালাউদ্দিন চাাঁপাতলীর রাস্তাটি করার সময় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছিলো । রাস্তা আটকানোর বিষয়ে তিনি বলেন,আমি বিষয়টি শুনেছি কিন্তু নিজের চোখে দেখিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category